বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৯:০১
অভিভাবকদের সন্তানের মানসিক চাহিদা বোঝা উচিত

ইস্ফাহানের ভরযনে শহরের ফাতিমাতুজ্‌যাহরা (সা.) মাদ্রাসায় আয়োজিত “পরিবার এবং তাতে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সুস্থতা” শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন হাওজা ইলমিয়ার শিক্ষিকা অধ্যাপক জাহরা সাইফি। তিনি বলেন, কিশোর বয়সে মানব আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় অভিভাবকদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ থাকে— কীভাবে তারা তাদের সন্তানদের সঙ্গে আচরণ করবেন। তাই অভিভাবকদের জন্য অপরিহার্য যে, তারা কিশোর সন্তানদের মানসিক বৈশিষ্ট্য ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত থাকেন, যাতে সঠিকভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ ও সুষ্ঠু লালন-পালন করতে পারেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি বলেন, কৈশোর এমন এক ধাপ যেখানে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে আবেগী টানাপোড়েন বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় পারিবারিক সম্পর্কের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেও সময় লাগে। এই পরিস্থিতিতে সঠিক আচরণ ও সঠিক প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।

জাহরা সাইফি জোর দিয়ে বলেন, যদি অভিভাবকরা সন্তানদের মানসিক চাহিদা ও প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন থাকেন, তবে তারা অনেক ধরনের চাপ ও সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তাই যারা সন্তানদের সঠিকভাবে মানুষ করতে চান, তাদের অবশ্যই সন্তানের মনস্তত্ত্ব গভীরভাবে জানা প্রয়োজন।

তিনি আরো বলেন, কৈশোর একটি সংবেদনশীল পর্যায় যা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যতকে গড়ে তোলে। গবেষণা অনুযায়ী, ব্যক্তিত্ব গঠনের ৭০ শতাংশ ঘটে ৭ বছর বয়সের মধ্যে, ৯০ শতাংশ ১৩ বছর বয়সে এবং শতভাগ ১৭ বছর বয়সের মধ্যে সম্পন্ন হয়।

এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু অভিভাবক সচেতনভাবে বা অচেতনভাবে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেন, যা তাদের জন্য ভবিষ্যতে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিশোর বয়সের ভুলগুলো যদি সঠিকভাবে সংশোধন করা না হয়, তবে তা ভবিষ্যৎ জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই এ সময়ে সন্তানদের সর্বোত্তম দিকনির্দেশনা ও সঠিক লালন-পালন অত্যন্ত জরুরি।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha